মেয়েদের মুখে অতিরিক্ত লোম কেন হয়?

মেয়েদের মুখে অতিরিক্ত লোম কেন হয়?


দাড়ি-গোঁফ পুরুষত্বের প্রতীক- পুরুষদের আশীর্বাদ বৈকি? আর তা যদি হয় একজন নারীর। তাহলে যেন বিষণ্নতার শেষ নেই। এ যেন বেদনাহতের অন্যতম একটি কারণ। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ রোগের নাম ‘হারসুটিজম’। হয়তো মনে প্রশ্ন জাগবে- এটি কি কোনো জটিল অসুখ?
এক কথায় বলা যায়- বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ অসুখ সাধারণ একটি সমস্যা যার চিকিৎসার জন্য ওষুধের চেয়ে অধিক জরুরি হলো কিছু নিয়মাবলি অনুসরণ।
হারসুটিজমের কিছু কারণ :
ষ বেশির ভাগ সময় কারণ জানা যায় না অর্থাৎ ইডিওপেথিক।
ষ বংশগত বা জাতিগত।
ষ মাসিক বন্ধ হওয়ার পরবর্তী সময়।
ষ কিছু ওষুধ খেলে যেমন- স্টেরয়েড, ফেনিটয়েন, সাইক্লোস্পোরিন, এন্ডোজেন, ডায়াজোক্সাইড, মিনোক্সিডিল,
প্রোজেমটেরন।
ষ পিসিওএস বিশেষ করে যুবতীদের।
ষ এক্সোমিগেলি, পরফাইরিয়া কিউটেনিয়া টারডা, সিএএইচ ইত্যাদি।
হারসুটিজমে কী করবেন
ষ ব্যায়াম যা অবশ্যই করতে হবে। সকাল বা বিকেল ৩০-৪০ মিনিট করে একটু জোরে জোরে হাঁটা অথবা ৫-১০ মিনিট জগিং বা দড়ি দিয়ে লাফানোর অভ্যাস খুব সহজেই করা সম্ভব।
ষ ডাক্তারের ওষুধের ওপর নির্ভর করতে চাইলে ধরে নিতে হবে এতে সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন।
ষ লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী জাতীয় টক খাবার বেশি খেতে হবে।
ষ শরীর মুটিয়ে গেলে প্রথম চিন্তা থাকতে হবে কিভাবে ওজন হ্রাস করা যায়। এ জন্য একজন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অধিকতর ফলদায়ক।
ষ ক্ষেত্র বিশেষ ব্লিচিং, এপিলেশন বা লেজার থেরাপি।
হারসুটিজমে কি করবেন না
ষ ব্লেড দিয়ে লোম কর্তন
ষ টেনশন
ষ ফাস্টফুড খাওয়া
মনে রাখতে হবে, মুখে যদি একবার লোম বৃদ্ধি পেয়েই যায় তাহলে কোনো ওষুধ নিয়ে তা তুলে ফেলা বা কমিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। বরং এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে- ‘মুখে নতুন করে যাতে লোম না গজায় সে জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ ও নিয়মকানুন রোগীকে বুঝিয়ে দেয়া।’
আর মাসিক নিয়মিত থাকলে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, এ রোগে শরীরের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব খুবই কম এবং অত্যন্ত সাধারণ চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব।
লেখক : ডায়াবেটোলোজিস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলোজিস্ট।

No comments:

Post a Comment