কপি এর চমক দেখে নিয়া যাক

সহজলভ্যতা, প্রাপ্যতা বা অভ্যাসের অভাব যাই বলুন না কেন, আমাদের দেশে কফি খাওয়ার প্রচলনটা চায়ের মতো বেশি নয়। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা বিকেলের জড়তা কাটাতে কফি বেশ পারদর্শী। বন্ধু বান্ধবের আড্ডায়ও কফির গুরুত্ব কিন্তু কম নয় বরং ভাবটা একটু গাঢ় থাকে। কফির ক্যাফেইন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিষ্ময়কর উপকারিতা নিয়ে হাজির। প্রতিদিন ১ কাপ কফি পান করলে আমরা মুক্ত থাকতে পারি অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রতিদিন ১ কাপ কফি পানের স্বাস্থ্য উপকারিত

লিভার সুস্থ রাখে
কফি লিভারের জন্য ভালো একটি পানীয়। কফির ক্যাফেইনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে পরিস্কার করতে সাহায্য করে। যারা মদ্যপান করেন তাদের লিভারের কর্মক্ষমতা অনেক কমে যায়। তারা নিয়মিত মদ্যপানের পরিবর্তে সকালে কফি পান করা শুরু করলে লিভারের কর্মক্ষমতা ফিরে আসবে।
মানসিক চাপ দূর
কফির ক্যাফেইন আমাদের মস্তিস্কের চাপ অনেকটা দূর করে। যারা প্রতিদিন সকালে ১ কাপ কফি পান করেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশ কম মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। এছাড়াও মানসিক চাপে থাকলে এক কাপ কফি আপনার মস্তিষ্ককে রিলাক্স হতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ক্যানসার রুখতে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে কফির ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ দেহে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে বেশ সহায়ক। যারা মনে করেন কফি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তাদের ভুল ধারনা ভেঙে দিনে অন্তত এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।
ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে
কফি পান করতে চাইলে ব্ল্যাক কফি পান করাটাই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ভালো। ব্ল্যাক কফি দেহের সুগারের মাত্রা কমাতে বেশ সহায়তা করে এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। যারা প্রতিদিন ১ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করেন তাদের ডায়বেটিসে আক্রান্তের ঝুকি কম। ডায়াবেটিস রোগী হলে সকালেই পান করুন, উপকৃত হবেন। স্মৃতিশক্তি লোপ বা অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধ করে
হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়
কফি পান হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে দারুণ কার্যকর। ১৫ বছর ব্যাপী ৪১,০০০ (একচলিশ হাজার) নারীর অংশগ্রহণে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৩ কাপ করে কফি পান হৃদরোগেরর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম। পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কফিতে ক্যাভনয়েড নামক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
কলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে
রক্তনালীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে প্রতিদিনের পান করা এক কাপ কফি। চা বা চকোলেটের চেয়ে কফিতে অধিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। এ ক্যাফেইন রক্তের এলডিএল (ক্ষতিকারক কলেস্টেরল) কমাতে এবং এইচডিএল (উপকারী কলেস্টেরল) বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
মেটাবলিক সিন্ড্র্রোমের ঝুঁকি কমায়
মেটাবলিক সিন্ড্রোম বলতে বহিঃস্থুলতা (অতিরিক্ত কোমরের মাপ) ইনসুলিন রেজিষ্ট্রান্স উচ্চ রক্তচাপ গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতাকে বুঝায়। এর যে কোনো একটি বা সমন্বিত ভাবে হৃদরোগ, স্ট্রোক বা অন্যান্য কার্ডিও ভাস্কুলার রোগ ঘটাতে পারে। নিয়মিত কফি পানে রক্তের কলেস্টেরলের উন্নতি, দৈহিক কাঠামোর উন্নতি ফলস্রুতিতে মেটাবলিক সিন্ড্রোমের উন্নতি ঘটতে পারে।
খাদ্যের বিপাকীয় কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কফি নিয়মিত ভাবে খাদ্যের বিপাকীয় ক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে এবং যাদের হজমজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য কফি উপকারী। বিশেষ করে যাদের দিনে কয়েকবার মল ত্যাগ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে কফি পান অতি দ্রুত দৃশ্যমান উন্নতি ঘটাতে পারে।

No comments:

Post a Comment